Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন


অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচি

অনগ্রসর জনগোষ্ঠী বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার একটি ক্ষুদ্র অংশ। সমাজসেবা অধিদফতরের জরিপমতে বাংলাদেশে অনগ্রসর জনগোষ্ঠী প্রায় ১৪,৯০,০০০ জন। অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন তথা এ জনগোষ্ঠীকে সমাজের মূল স্রোতধারায় সম্পৃক্ত করতে বর্তমান সরকার বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। নিয়েছে। ২০১২-১৩ অর্থবছর হতে ২০১৮-১৯ পর্যন্ত বেদে ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচি দুটি একত্রে ছিল। ২০১৯-২০ অর্থবছরে  এ কর্মসূচি পৃথক হয়ে "অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচি "নামে স্বতন্ত্র কর্মসূচি  হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে। ২০২১-২২ অর্থবছর হতে এ কার্যক্রমের বিশেষ ভাতা ও শিক্ষা উপবৃত্তির নগদ সহায়তায় জিটুপি পদ্ধতিতে উপকারভোগীর মোবাইল হিসাবে প্রেরণ করা হচ্ছে।

অনগ্রসর সম্প্রদায়:

অনগ্রসর সম্প্রদায় বা শ্রেণী যারা সামাজিক ও শিক্ষাগত দিক দিয়ে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী। চরম অবহেলিত, বিছিন্ন, উপেক্ষিত জনগোষ্ঠী হিসেবে এরা পরিচিত। অনগ্রসর জনগোষ্ঠী হিসেবে জেলে, সন্যাসী, ঋষি, বেহারা, নাপিত, ধোপা, হাজাম, নিকারী, পাটনী, কাওড়া, তেলী, পাটিকর, সুইপার, মেথর বা ধাঙ্গর,   ডোমার, ডোম,  রাউত, ও নিম্নশ্রেণীর পেশার জনগোষ্ঠী।

কার্যক্রমসমূহ:

 

       অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে নিম্নবর্ণিত কার্যক্রমসমূহ পরিচালিত হবে:

 

  1. ৫০ বছর বা তদুর্ধ্ব বয়সের অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর অক্ষম ও অসচ্ছল ব্যক্তিকে ভাতা প্রদান;
  2. শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত লক্ষ্যভুক্ত শিক্ষার্থীদের মাসিক হারে প্রাথমিক স্তরে ৭০০ টাকা, মাধ্যমিক স্তরে ৮০০ টাকা, উচ্চমাধ্যমিক স্তরে ১০০০ টাকা এবং উচ্চতর স্তরে ১২০০ টাকা শিক্ষা উপবৃত্তি প্রদান:
  3. ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে কর্মক্ষম অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর ব্যক্তিকে প্রশিক্ষণ প্রদান।

 

কর্মসূচির সংক্ষিপ্ত পটভূমি:

২০১২ -২০১৩ অর্থ বছর হতে পাইলট কর্মসূচি হিসেবে দেশের ৭টি জেলাকে অর্ন্তভূক্ত করে এ কর্মসূচি শুরু হয়।  ২০১৩-২০১৪ অর্থ বছরে নতুন ১৪ জেলাসহ মোট ২১টি  জেলায় এ কর্মসূচি সম্প্রসারিত হয় এবং ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে পূর্বের ২১ জেলা সহ নতুন ৪৩টি জেলায় কর্মসূচি সম্প্রসারণ করে মোট ৬৪ জেলায় এ কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে।


সেবা প্রাপ্তির স্থান/অফিসের নাম:

 

বগুড়া জেলার ১২টি উপজেলা ও ০১ টি শহর সমাজসেবা অফিস

 

দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা / কর্মচারী:

 

উপজেলা / শহর সমাজসেবা কর্মকর্তা ও সংশিষ্ট কার্যালয়ের জনবল

 

সেবা প্রদান পদ্ধতি (সংক্ষেপে):

 

বরাদ্দ প্রাপ্তি সাপেক্ষে উপজেলা / শহর  সমাজসেবা অফিসার বিজ্ঞপ্তি প্রচার করেন। অত:পর নির্ধারিত ফরমে আগ্রহী ব্যক্তিদের সমাজসেবা অফিসার বরাবর আবেদন করতে হয় । প্রাপ্ত আবেদন ইউনিয়ন কমিটি কর্তৃক সরেজমিনে যাচাই-বাছাই করে প্রস্তাব আকারে উপজেলা কমিটিতে প্রেরণ করা হয়। অত:পর উপজেলা কমিটি  যাচাই বাছাই করে বরাদ্দ অনুসারে উপকারভোগী নির্বাচন করে। নির্বাচিত ব্যক্তির নামে ব্যাংক হিসাব খোলা এবং কেন্দ্রীয় হিসাব হতে ভাতার টাকা স্থানান্তর করে নির্বাচিত ব্যক্তিকে অবহিতকরণপূর্বক ভাতা বিতরণ সম্পন্ন করা হয় ।

 

১৮ বছর বয়সের উর্ধ্ব কর্মক্ষম ব্যক্তিদেরকে ট্রেড ভিত্তিক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয় । প্রশিক্ষণার্থীদেরকে প্রশিক্ষণোত্তর অফেরতযোগ্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।

 

সেবা প্রাপ্তির প্রয়োজনীয় সময়:

 

নতুন বরাদ্দ প্রাপ্তি সাপেক্ষে আবেদনের ০৩ মাসের মধ্যে;

 

পুরাতন বা নিয়মিতদের ক্ষেত্রে ০৭ কর্মদিবস

 

প্রয়োজনীয় ফি/ট্যাক্স/আনুষঙ্গিক খরচ: বিনামূল্যে

 

সংশ্লিষ্ট আইন/বিধি/ নীতিমালা: দলিত, হরিজন ও বেদে জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচি নীতিমালা ২০১৩

 

নির্দিষ্ট সেবা পেতে ব্যর্থ হলে পরবর্তী প্রতিকারকারী কর্মকর্তা

 

১. চেয়ারম্যান উপজেলা পরিষদ (সংশ্লিষ্ট উপজেলা)

 

২. জেলা প্রশাসক (সংশ্লিষ্ট জেলা)

 

৩. কর্মসূচি পরিচালক

 

এক নজরে বগুড়া জেলাধীন অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর ভাতার তথ্যঃ

 

ক্রম

উপজেলা/ কার্যালয়ের নাম

ইউনিয়ন সংখ্যা/পৌরসভা

অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর বয়স্ক/বিশেষ ভাতা গ্রহীতার সংখ্যা 

(৫০০ টাকা হারে)

অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর শিক্ষা উপবৃত্তি গ্রহিতার সংখ্যা

বগুড়া সদর

১১

২৭

২৮

শেরপুর

১০

২৭

২০

ধুনট

১০

৪০

৪৪

নন্দীগ্রাম

০৫

৬৬

৪৬

কাহালু

০৯

৫৩

২৩

আদমদিঘী

০৬

৪০

২৯

দুপচাঁচিয়া

০৬

৫৩

৩১

সারিয়াকান্দি

১২

৫৩

৩৪
গাবতলী ১১ ৫৩ ৩৬
১০ শিবগঞ্জ ১২ ৪০ ২২
১১ সোনাতলা ০৭ ৪০ ২৫
১২ শাজাহানপুর ০৯ ৪০ ২৮

১৩

শহর সমাজসেবা

০১ টি( ২১ টি ওয়ার্ড

)৪০

৩৫

 

র্সবমোট

 

৫৭২

 
৪০১